জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এটা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের চতুর্থ বাজেট। বৃহস্পতিবার (১ জুন) বেলা দেড়টা থেকে বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী।
জনসাধারণের ওপর নানা উপায়ে নতুন কর ও ভ্যাট আরোপ করেই তৈরি করা হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। জানা গেছে, এবার বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে চার লাখ ২৬৬ কোটি টাকা। এ বছর ১ লাখ ৫৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) অনুমোদন করা হয়েছে। সামনের বছর জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে এবার পরিধি বাড়ানো হতে পারে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের সুবিধাভোগীদের জন্য। একইসঙ্গে বাড়ানো হবে এ খাতের বরাদ্দ। উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনে এবারের বাজেটে গুরুত্ব পাচ্ছে সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অন্যান্য সামাজিক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন। এ বছর বাজেটে বেশি বরাদ্দ পাবে বিদ্যুৎ খাত। একইভাবে গুরুত্ব পাবে মানবসম্পদ খাত। উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ রাখা হবে পদ্মা সেতুসহ সরকারের মেগা প্রকল্প খাতে। তবে বাড়ানো হতে পারে ব্যক্তিখাতের করমুক্ত আয়সীমা। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট করা হয়েছে জিডিপির ১৭ শতাংশ হারে। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এ বছরের বাজেটের সম্ভাব্য আকার হতে পারে চার লাখ দুইশ ৬৬ কোটি টাকা। রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদে উপস্থাপনের আগে সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য মন্ত্রিপরিষদের বিশেষ সভায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।